ট্যাকটিক চলন : বাহ্যিক উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ ও তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদের সমগ্রদেহের বা দেহাংশের বা কোশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়াকে ট্যাকটিক চলন বলে
ট্যাকটিক চলনের প্রকারভেদ –
উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী ট্যাকটিক চলন প্রধানত চার প্রকার। যথা-
ফোটোট্যাকটিক (Phototactic) চলন
উদ্ভিদের সমগ্র দেহ যখন আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তখন তাকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স নামক শৈবাল স্বল্প আলোর দিকে অগ্রসর হয়, কিন্তু প্রখর আলো থেকে দূরে সরে যায়। একে প্রতীপ আলোকবর্তী চলন বলে।
থার্মোট্যাকটিক (Thermotactic) চলন
উদ্ভিদের সমগ্র দেহ যখন উন্নতা উদ্দীপকের প্রভাবে স্থানান্তরিত হয়, তখন তাকে থার্মোট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবাল বেশি উন্নতার দিকে সরে যায়।
কেমোট্যাকটিক (Chemotactic) চলন
উদ্ভিদের সমগ্র দেহ যখন কোনো রাসায়নিক পদার্থের আকর্ষণে স্থানান্তরিত হয়, তখন তাকে কেমোট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : গ্লুকোজের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে মসের শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে ধাবিত হয় এবং ম্যালিক অ্যাসিড দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে ফার্ন গাছের শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে ধাবিত হয়।
হাইড্রোট্যাকটিক (Hydrotactic) চলন
উদ্ভিদের সমগ্র দেহ যখন জল উদ্দীপকের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তখন তাকে হাইড্রোট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : এককোশী শৈবাল শুষ্ক স্থান থেকে জলের দিকে যায়।